সুন্দরবনের প্রিমিয়াম মধু, যা সাধারণত গরান, গোলপাতা, খলসা, সুন্দরী ইত্যাদি ফুলের রেণু থেকে মৌমাছি সংগ্রহ করে, প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয় এবং এর কিছু উল্লেখযোগ্য গুণাগুণ হলো—
১. প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধতা
- 
সুন্দরবনের মধু প্রায়ই জঙ্গলের গভীর এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়, যেখানে কোনো কৃত্রিম চাষ বা রাসায়নিক সার ব্যবহার হয় না।
 - 
মৌচাকগুলোতে কোনো প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়াই মধু আহরণ হওয়ায় এটি কাঁচা ও অর্গানিক ধরণের হয়ে থাকে।
 
২. পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
- 
এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন (বি-কমপ্লেক্স, সি), মিনারেল (আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম), এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
 - 
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
 
৩. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য
- 
সুন্দরবনের মধুতে প্রাকৃতিক এনজাইম ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকার কারণে জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে।
 - 
ক্ষত নিরাময়, গলা ব্যথা বা সর্দি-কাশিতে উপকারী।
 
৪. শক্তি ও হজম সহায়ক
- 
এতে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকায় দ্রুত শক্তি যোগায়।
 - 
হজমে সহায়তা করে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
 
৫. অনন্য স্বাদ ও ঘ্রাণ
- 
সুন্দরবনের ফুলের বৈচিত্র্যের কারণে এর স্বাদ গাঢ়, মিষ্টি ও হালকা কাঠের সুবাসযুক্ত।
 - 
বাজারের সাধারণ মধুর তুলনায় অনেক বেশি সুগন্ধি ও পুষ্টিকর।
 



